01-10-2019
ধান চাষে পানি সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমানো যায় এবং সঠিক পদ্ধতির সেচ ব্যবস্থাপনা অনুসরণের মাধ্যমে ধানের ফলনের ক্ষতি এড়ানো যায়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, কেবল আমন মৌসুমেই সম্পূরক সেচ প্রয়োগের মাধ্যমে খরা মোকাবেলা করে দশ লাখ টন বাড়তি ধান উৎপাদন করা সম্ভব। এ দেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ, ৮৫ লাখ ৮৫ হাজার ২০৭ দশমিক ৪ হেক্টর। আর মোট সেচকৃত জমির পরিমাণ ৭৬ লাখ ১৪ হাজার ৫৭২ হেক্টর। এর মধ্যে আমন মৌসুমে ২০ লাখ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন পর্যায়ে সেচের প্রয়োজন হয়। আমাদের দেশে আউশ, আমন ও বোরো তিন মৌসুমেই কমবেশি সেচের প্রয়োজন হয়। তবে বোরো মৌসুমে সেচের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। এজন্য বোরোর আবাদ এলাকা আর না বাড়িয়ে আউশ এবং বৃষ্টিনির্ভর আমন ধানের আবাদ এলাকা বাড়ানোর জন্য সরকারি প্রচেষ্টা জোরদার করা হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে বোরো চাষে সেচ কাজে পানির চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় যা মেটাতে ভূ-গর্ভস্থ পানি অধিক পরিমাণে উত্তোলন করা হয়। ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর ব্যাপক চাপ পড়ে এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বিঘিœত হয়।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে ১৫০০-২০০০ লিটার পানির প্রয়োজন হয় যা সেচের মাধ্যমে পূরণ করা ব্যয়বহুল। এই বাস্তবতায় বৃষ্টি নির্ভর আমন ধানের আবাদ এলাকা বাড়ানোর বিষয়টি সরকারি-বেসরকারি কর্মপ্রয়াসে এখন অগ্রাধিকার পাচ্ছে। আমন মৌসুমে বিশেষ করে ধান রোপণের সময়টাতে এবং ধানের ফুল আসা পর্যায়ে যখন খরা দেখা দেয় তখন সম্পূরক সেচ প্রয়োগ করা অতীব প্রয়োজন। আমন আমন মৌসুমে বিশেষ করে ধান রোপণের সময়টাতে এবং ধানের ফুল আসা পর্যায়ে যখন খরা দেখা দেয় তখন সম্পূরক সেচ প্রয়োগ করা অতীব প্রয়োজন। এছাড়াও আউশ মৌসুমে ধান চাষে সম্পূরক সেচ প্রয়োগের মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি করা যায়। অনুরূপভাবে বিভিন্ন সেচ প্রযুক্তি যেমন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে রবি ফসল উৎপাদন, অগভীর নলকূপে চেক ভাল্ব সংযোজনের মাধ্যমে প্রাইমিং সমস্যা দূরীকরণ, গভীর নলকূপে পিভিসি পাইপের মাধ্যমে পানি বিতরণ পদ্ধতি, এডব্লিউডি পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে আউশ-আমনের পাশাপাশি বোরো ধান চাষে পানি সাশ্রয় এবং ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব। ব্রি থেকে প্রকাশিত ‘আধুনিক ধানের চাষ’ শীর্ষক বইটিতে এসব প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ধানের জমিতে সব সময় দাঁড়ানো পানি রাখার প্রয়োজন নেই। ধানের চারা রোপণের পর জমিতে ১০-১২ দিন পর্যন্ত ছিপছিপে পানি রাখতে হবে, যাতে রোপণকৃত চারায় সহজে নতুন শিকড় গজাতে পারে। এরপর কম পানি রাখলেও চলবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, ধানগাছ যেন পানির স্বল্পতায় না পড়ে। বৃষ্টিনির্ভর রোপা আমন এলাকায় জমির আইল ১৫ সেন্টিমিটার উঁচু ও ফাটলবিহীন রাখলে অনেকাংশে বৃষ্টির পানি ধরে রাখা যায়, যা খরা থেকে ফসলকে কিছুটা হলেও রক্ষা করে। এরপরও যদি ফসল খরা কবলিত হয় তাহলে প্রয়োজন মাফিক যথাসময়ে সম্পূরক সেচ দিতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, খরা কবলিত ধানের চেয়ে সম্পূরক সেচযুক্ত ধানের ফলন হেক্টরে প্রায় এক টন বেশি হয়।
বৃষ্টির পানি পুকুরে সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ:
ব্রির সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগ উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির পানি পুকুরে সংরক্ষণ করে তার মাধ্যমে সেচ প্রয়োগ করে সফলভাবে রবি ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, রবি মৌসুমের শুরুতে পুকুরের ৮০ ভাগ পানি দ্বারা পূর্ণ থাকে। যা দিয়ে রবি ফসলে তিনটি সেচ দেয়া সম্ভব হয়। এ ক্ষেত্রে জমির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় । এ ক্ষেত্রে ধান ছাড়া অন্যান্য ফসল যেমন সবজি, সরিষা, সূর্যমুখী চাষ করা যায়।
অগভীর নলকূপে চেক ভাল্ব সংযোজনের মাধ্যমে সেচ সহজীকরণ:
বাংলাদেশের মোট সেচকৃত জমির শতকরা ৮০ ভাগে সেচ প্রদান করা হয় অগভীর নলকূপের মাধ্যমে। বর্তমানে প্রায় ১৬ লক্ষ অগভীর নলকূপ সেচ কাজে নিয়োজিত আছে। অগভীর নলকূপের পাম্প চালানোর সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো প্রাইমিং। প্রাইমিংয়ের মাধ্যমে মাটির নিচে নলকূপের ভেতরে থাকা পানিকে সেচ পাম্পের ডেলিভারির মুখ পর্যন্ত তুলে আনতে হয়। অগভীর নলকূপের পাম্প যখনই চালু করা হয় তখনই প্রাইমিংয়ের প্রয়োজন হয়। প্রাইমিং কাজটি অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং এ কাজের জন্য সময় অপচয় ও অতিরিক্ত শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। বার বার প্রাইমিংয়ের বিড়ম্বনা দূর করার জন্য ব্রির সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগ একটি চেক ভাল্ব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এই চেক ভাল্ব ব্যবহার করলে মৌসুমের শুরুতে একবার প্রাইমিং করলে সারা মৌসুমে আর এর প্রয়োজন হবে না।
প্রযুক্তির সুবিধা : এ প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য বিশেষ কোনো কারিগরি দক্ষতার প্রয়োজন নেই। অতি সহজেই চেক ভাল্বটি অগভীর নলকূপের সাথে সংযোজন করা যায়। এটি সহজে বহনযোগ্য। যে কোনো স্থানীয় ওয়ার্কশপে এটি তৈরি করা যায়। সেচ মৌসুম শেষে চেকভাল্ব খুলে বাড়িতে রাখা যায়। পাম্প চালানোর জন্য শুধু সুইচ (বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে) টিপ দেওয়া এবং হাতল (ডিজেল চালিত ক্ষেত্রে) ঘুরানোই যথেষ্ট। এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ নাই বললেই চলে। তবে ৮-১০ বছর পর পর রাবারের ভাল্বটি নতুন করে লাগাতে হবে।
অসুবিধা : সেটিং সঠিক না হলে চেক ভাল্ব ঠিকমতো কাজ করে না।
গভীর নলকূপে পিভিসি পাইপের মাধ্যমে পানি বিতরণ:
বাংলাদেশে সেচকৃত জমির পরিমাণ আবাদি জমির শতকরা ৬০ ভাগ। সেচকৃত জমির শতকরা ১৫ ভাগে ভূ-উপরিস্থ পানি এবং শতকরা ৮৫ ভাগে ভূ-গর্ভস্থ পানি দিয়ে সেচ প্রদান করা হয়। ভূ-উপরিস্থ পানি প্রদানের জন্য লো লিফ্ট পাম্প ও বিভিন্ন প্রকার বাঁধ (ড্যাম) ব্যবহার করা হয়। আবার ভূ-গর্ভস্থ পানি প্রদানের জন্য গভীর নলকূপ, অগভীর নলকূপ, সাবমার্সিবল পাম্প ইত্যাদি সেচযন্ত্র ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে দেশে প্রায় ৩৬ হাজার গভীর নলকূপ এবং ১৬ লক্ষ অগভীর নলকূপ সেচ কাজে নিয়োজিত আছে। এ ধরনের সেচ যন্ত্রে পানি উত্তোলন এবং ডিসচার্জ ক্ষমতা সন্তোষজনক থাকলেও মাঠে পানি বণ্টনের পদ্ধতি অনেক ক্ষেত্রে সন্তোষজনক হয় না। বিশেষ করে গভীর নলকূপের ক্ষেত্রে যখন কাঁচা, আধা পাকা, ভাঙা পাকা নালার মাধ্যমে মাঠে পানি বণ্টন করা হয় তখন সরবরাহকৃত পানির শতকরা ২৫-৩০ ভাগ অপচয় হয় শুধু নালাতেই, যাকে বড় ধরনের পরিবহন অপচয় বলা যায়। আবার যে সকল জমির উচ্চতা পানির উৎস থেকে উপরে অবস্থিত সে সকল জমিতে উল্লিখিত পদ্ধতিতে পানি পৌঁছানো সম্ভব হয় না। ব্রির সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগ গভীর নলকূপে পিভিসি পাইপের মাধ্যমে পানি বিতরণ পদ্ধতি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এ ক্ষেত্রে পিভিসি পাইপ, ক্রস, টি, বেন্ড ও ক্যাপ ব্যবহার করে সেচ যন্ত্রের পানি বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানোর বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। এ পদ্ধতিতে পানি সাশ্রয়ের মাধ্যমে সেচ এলাকা বৃদ্ধি ও সেচ খরচ কমানো সম্ভব।
সুবিধা : এ প্রযুক্তিতে পানি পরিবহন অপচয় প্রায় শূন্য। অতি দ্রুত উৎস থেকে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পানি পৌঁছে, ফলে কাঁচা নালার তুলনায় শতকরা ৩১.৬ ভাগ সময় সাশ্রয় হয়। উঁচ-নিচু জমিতে সহজেই পানি বিতরণ সম্ভব। উৎস থেকে উঁচু জমিতেও পানি সরববাহ করা যায়। তাছাড়া প্রধান অথবা শাখা নালা ঝোপ-ঝাড়ের ভেতর দিয়ে কিংবা খাল ও নর্দমার উপর দিয়ে স্থাপন করা যায়। পানি ব্যবহার দক্ষতা বৃদ্ধি ও অপচয় রোধের মাধ্যমে পানি সাশ্রয়ের ফলে সেচ এলাকা বৃদ্ধি করা (শতকরা ৩০ ভাগ বা তার বেশি) সম্ভব। প্রযুক্তিটির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ খুবই কম।
এডব্লিউডি পদ্ধতি:
বোরো মৌসুমে ধান আবাদে পানি সাশ্রয়ী আর একটি পদ্ধতির নাম অলটারনেট ওয়েটিং এন্ড ড্রায়িং (পর্যায়ক্রমে ভেজানো-শুকানো) বা এডব্লিউডি। এ পদ্ধতির জন্য প্রয়োজন হয় একটি ৭-১০ সেন্টিমিটার ব্যাস ও ২৫ সেন্টিমিটার লম্বা ছিদ্রযুক্ত পিভিসি পাইপ বা চোঙ্গ। পাইপটির নিচের দিকের ১৫ সেন্টিমিটার জুড়ে ছোট-ছোট ছিদ্র থাকে। এটি চারা রোপণের ১০-১৫ দিনের মধ্যে জমিতে আইলের কাছে চারটি ধানের গোছার মাঝে খাঁড়াভাবে স্থাপন করতে হবে যেন এর ছিদ্রবিহীন ১০ সেন্টিমিটার মাটির উপরে এবং ছিদ্রযুক্ত ১৫ সেন্টিমিটার মাটির নিচে থাকে। এবার পাইপের তলা পর্যন্ত ভিতর থেকে মাটি উঠিয়ে নিতে হবে। মাটি শক্ত হলে গর্ত করে পাইপটি মাটিতে বসানো যেতে পারে। যখন পানির স্তর পাইপের তলায় নেমে যাবে তখন জমিতে এমনভাবে সেচ দিতে হবে যেন দাঁড়ানো পানির পরিমাণ ৫-৭ সেন্টিমিটার হয়। আবার ক্ষেতের দাঁড়ানো পানি শুকিয়ে পাইপের তলায় নেমে গেলে পুনরায় সেচ দিতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ভিজানো ও শুকানো পদ্ধতিতে সেচ চলবে জাতভেদে ৪০-৫০ দিন পর্যন্ত। যখনই গাছে থোড় দেখা দেবে তখন থেকে দানা শক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ক্ষেতে স্বাভাবিক ২-৫ সেন্টিমিটার পানি রাখতে হবে। দেখা গেছে, এডব্লিউডি পদ্ধতিতে বোরো ধানে সেচ দিলে দাঁড়ানো পানি রাখার চেয়ে ৪-৫টি সেচ কম লাগে এবং ফলনও কমে না। ফলে সেচের পানি, জ্বালানি ও সময় সাশ্রয় হয় এবং উৎপাদন খরচও হ্রাস পায়। তবে এ পদ্ধতি প্রয়োগের একটি নেতিবাচক দিক হলো, এর ফলে সেচ ব্যবস্থা অনুসরণ করলে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে।
শস্যবিন্যাসের মাধ্যমে খরা মোকাবেলা:
ব্রির সেচ ও পানি ব্যবস্থপনা বিভাগ শস্যবিন্যাসে সামান্য পরিবর্তন এনে দেশের উত্তরাঞ্চলে খরা মোকাবেলার একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। বোরো ও আউশের মধ্যবর্তী সময়ে ধান রোপণ করা হলে সেটিকে ব্রাউশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বোরোর জাত ব্রাউশে আবাদ করা হলে জীবনকাল কিছুটা কমে। পক্ষান্তরে আউশের জাত ব্রাউশে আবাদ করা হলে জীবনকাল কিছুটা বাড়ে। দীর্ঘ জীবনকালের জাত দিয়ে বোরো-পতিত-আমন শস্যক্রমের পরিবর্তে স্বল্প জীবনকালের আউশ-আমনের জাত দিয়ে আলু-ব্রাউশ-আমন শস্যক্রম অনুসরণ করলে সেচের পানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি ভালো ফলন পাওয়া যায়। স্বল্প জীবনকালের ধানের জাত যেমন- ব্রি ধান২৮ বা ব্রি ধান৪৮ ব্রাউশে রবি শস্য আবাদের সুযোগ সৃষ্টি করে। ব্রাউশ মৌসুমে ব্রি ধান৪৮ তুলনামূলকভাবে ব্রি ধান২৮ এর চেয়ে বেশি ফলন দেয়। রবি শস্য হিসেবে বারি আলু-৭ বা বারি আলু-২৫ আবাদ করা যেতে পারে। এ প্রযুক্তির (আলু-ব্রাউশ-আমন) ধান-সমতুল্য ফলন (১৮ টন/হেক্টর) আমন-বোরো-পতিত শস্যক্রমের (১২.৩ টন/হেক্টর) তুলনায় অধিক এবং এটি শতকরা ৩২ ভাগ সেচের পানি সাশ্রয় করে। এ প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার সেচের খরচ কমাবে এবং সেচের জন্য ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমাবে। দেশের উত্তরাঞ্চলে ব্রাউশ ধান স্বাভাবিক বোরোর মতোই ফলন দেয়। প্রযুক্তিটি রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকের মাঠে পরীক্ষা করে ভালো ফল পাওয়া গেছে।
প্রযুক্তির সুবিধা:
-বৃষ্টির পানি অধিক ব্যবহারের ফলে সেচের পানির সাশ্রয় করে।
-আমন (ব্রি ধান৪৯)-বোরো (ব্রি ধান২৯)-পতিত শস্যক্রমের তুলনায় এ প্রযুক্তি শতকরা ৩২ ভাগ কম সেচের পানি ব্যবহার করে এবং শতকরা ৪৬ ভাগ অধিক ধান-সমতুল্য ফলন দেয়।
-জ্বালানি তেল, সেচের খরচ সাশ্রয় করার মাধ্যমে প্রযুক্তিটি গ্রীনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করে।
-শস্য আবর্তনের মাধ্যমে মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
-ভূ-গর্ভস্থ পানির তলের অবনমন হ্রাস করে।
সেচ খরচ:
বোরো মৌসুমে ধান চাষাবাদে খরচের অন্যতম প্রধান খাত হলো সেচ। ব্রির সেচ ও পানি ব্যবস্থপনা বিভাগের সমীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমানে বোরো মৌসুমে ধান চাষে সেচের জন্য প্রতি বিঘায় খরচ হয় ২০০০ টাকার বেশি। আর সেচ খরচ বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩১ সালে প্রতি হেক্টরে এ খরচ ১৬,৭১২ টাকায় দাঁড়াতে পারে। কাজেই উৎপাদন খরচ কম রাখতে হলে মাঠ পর্যায়ে যথাযথ সেচ ব্যবস্থাপনা এবং সেচ প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে খরচ সীমিত করার উদ্যোগ নেয়া একান্ত আবশ্যক।
0 Comment